সিঙ্গুর আন্দোলন আমার জীবনের সবথেকে বড় ভুল : মুকুল রায়

25th December 2020 7:17 pm হুগলী
সিঙ্গুর আন্দোলন আমার জীবনের সবথেকে বড় ভুল :  মুকুল রায়


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : আমি তিন বছর আগে প্রকাশ্যে সাংবাদিক ডেকে বলেছিলাম সিঙ্গুর আমার জীবনের বড় ভুল। সেটার কারন হচ্ছে সেই সময় সিঙ্গুরের মাটি থেকে তৃণমূল কংগ্রেস টাটা কে তাড়িয়ে না দিতো এবং তাকে শিল্প করতে দিতো,আহলে আজ বাংলা এরকম নির্জলা থাকতো না।যুবকদের চাকরি হচ্ছেনা,কোন শিল্প নেই,এর জন্যে মূল হচ্ছে টাটাদের ওখানে শিল্প করতে না দেওয়া।আমি নিজে মনে করেছিলাম আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক জীবনে সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সাথ দিয়েছিলাম।সিঙ্গুর আন্দোলনে আমার একটা বড় ভূমিকা ছিলো,কিন্তু সেটা ভুল হয়েছিলো,সেটা আপনাদের সবার কাছে এই বাইট টা আছে।আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলছি মমতা দেবীর শেষে চৈতন্য হয়,কোন চৈতন্যই ঠিক সময়ে হয়না।ওনার এখন চৈতন্য হয়েছে যে ওই মাটি আর চাষের উপযুক্ত নেই।আজকে উনি বলছেন, যে ওই মাটি টায় আর চাষ করা যাবেনা, ১১ একর জমি দিয়ে ওখানে একটা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ না কি হবে।প্রথম কথা লোক বুঝতেই পারবেনা,বোঝেইনা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ টা কি হয়।অতএব এরকম কিছু একটা বলে ইন্ডাস্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি শব্দ বলে লোককে কনফিউজ করা সহজ হয়।তাই লোককে কনফিউজ করার জন্যে বলা হচ্ছে ওখানে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ হবে।ওখানে আপনারা জানেন জমি টা এক হাজার একর।সেই এক হাজার একরের উপর ১১ একর জমি এটা কি হবে, কোথা থেকে আসবে, কি বৃত্তান্ত হবে জানিনা।তবে যেহেতু নির্বাচন আছে খসখস করে দেখবেন অফিস মেমোরান্ডাম তৈরি হয়ে যাবে।মানুষ কে বিভ্রান্ত করার জন্য এটা যথেষ্ট।আমি খুব সবিনয়ে মমতা দেবী কে বলেছি সরকার এসে গেছে,আর আপনি অনেক করেছেন,আর করতে হবেনা।বৈদ্যবাটিতে শ্যামাপ্রসাদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির আয়োজনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে  বলেন মুকুল রায়।পরে মঞ্চে বলেন,যতদিন যাচ্ছে বিজেপির অবস্থা ভালো হচ্ছে।আসন বাড়বে বিজেপির।তৃনমূল পঞ্চাশ পেরোবে না।এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষন মিথ্যায় ভরা সৌগত রায়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুকুল রায় বলেন,ওনার যা বয়েস হয়েছে তাতে বানপ্রস্থে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। বৈদ্যবাটির এদিনের মঞ্চে সব্যসাচী দত্ত বলেন,মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সিঙ্গুরে শিল্প হবে,হ্যাঁ হবে চপ শিল্প হবে। তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব মুকুলের বক্তব্যের পাল্টা বলেন,ওনার বিজেপিতে যাওয়া ভুল হয়েছে।শিল্প নিয়ে মুকুলবাবুদের কথা বলা সাজে না।রাজ্যে অনেক শিল্প হয়েছে আরও বিনিয়োগ আসছে।আর বিজেপি আম্বানী আদানীদের হাতে দেশ বেচে দিচ্ছে। মুকুল বাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন।রেল মন্ত্রী হয়েছেন । ক্ষমতা থাকলে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে দেখান না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।